ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

পাবনায় স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, পাঁচ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

আপলোড সময় : ২৯-০২-২০২৪ ১১:১০:০৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-০২-২০২৪ ১১:১০:০৫ পূর্বাহ্ন
পাবনায় স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, পাঁচ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ সংগৃহীত
পাবনার আমিনপুরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধুর স্বামী ছয়জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। তবে, ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আমিনপুরের সাগরকান্দি ইউনিয়নের চর কেষ্টপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন– চর কেষ্টপুরের মাজেদ প্রামানিকের ছেলে সেলিম প্রামাণিক (২৩), একই এলাকার শরীফ (২৪), আনিছ সরদারের ছেলে রাজীব সরদার (২১), তালেব মন্ডলের ছেলে রুহুল মন্ডল (২৬), শফিক সরদারের ছেলে লালন সরদার (২০) ও শামসুলের ছেলে সিরাজুল (২৩)।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চর কেষ্টপুর গ্রামে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ডেকোরেশনের দায়িত্বে ছিলেন ভুক্তভোগী গৃহবধুর স্বামী। ওই রাতে, টাকার প্রয়োজনে ও ওয়াজ মাহফিল শুনতে ভাগিনাকে নিয়ে সেখানে যান ভুক্তভোগী।

ওয়াজ মাহফিল শেষে রাত দেড়টার দিকে ভ্যানে করে পাশ্ববর্তী শ্রীপুর গ্রামে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা। একই এলাকায় যাবে বলে পথিমধ্যে তাদের ভ্যানে ওঠে এক যুবক। কিছুদূর যাবার পরে ভ্যান থামিয়ে ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে পরিচয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ওই যুবক।

সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী জানালেও সে সময় ভুক্তভোগীর স্বামীকে মারধর করা হয়। পরে, মুঠোফোনে ডাকা হয় আরও কয়েকজনকে। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, সেলিম প্রামাণিক, শরীফ হোসেন, রাজীব সরদার, রুহুল মন্ডল, লালন সরদার ও সিরাজুল ইসলাম। পরে তারা একত্রিত হয়ে গৃহবধুর স্বামীকে আটকে রাখে। অতঃপর গৃহবধুকে একটি ভুট্টো ক্ষেতে নিয়ে অভিযুক্তরা পালাক্রমে ধর্ষন করে।

এক পর্যা‍য়ে, গৃহবধুর স্বামী ছুটে গিয়ে স্থানীয়দের খবর দিলে তারা পালিয়ে যায়। একজনকে ধরে মারধর শুরু করে এলাকাবাসী। তবে, সেও একপর্যায়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে, স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার গৃহবধুকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেন কাদেরী বলেন, স্থানীয়রা ওই নারীকে উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে আসলে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। পরে ভুক্তভোগী নারীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল অথবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন তিনি।

ভুক্তভোগী গৃহবধুর দাবি, তাদের ছয় মাস আগে বিয়ে হয়। এছাড়া, সে আড়াই মাস বা তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা ছিল এবং এ ঘটনায় তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলেও দাবি তার। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর গৃহবধুর স্বামী বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, অভিযুক্তরা সবাই পলাতক আছেন। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ